ঘুরে এলাম ক্রাভেন কটেজ : ফুলহ্যামের স্টেডিয়াম।
ঘুরে এলাম ফুলহ্যাম ক্লাবের ক্রাভেন কটেজ স্টেডিয়াম। উত্তর লন্ডনে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটির সাথে জড়িয়ে আছে দারুণ কিছু ইতিহাস। আসুন জেনে নেয়া যাক তেমনই কিছু তথ্য..
ক্রাভেন কটেজ ফুলহ্যামের হোম গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ১৯৮৬ সাল থেকে। ত্রিশ হাজারের চেয়েও কম ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে জমির প্রকৃত মালিক উইলিয়াম ক্রাভেনের নামানুসারে।
ফুলহ্যামের প্রতিদ্বন্দ্বী ধরা হয় কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সকে। ইংল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক খেলার মাঠের মালিক এই ক্লাবটি (১৪); তারপরই আছে ফুলহ্যাম, তাদের আছে ১২ টি মাঠ।
মজার ব্যাপার হলো তৎকালীন ক্লাব পরিচালকদের একজন হেনরি নরিস তার এক বন্ধুকে নিয়ে ১৯১০ সালের দিকে আর্সেনাল কিনে নেন; এবং ফুলহ্যাম ক্লাব ভেঙ্গে দিয়ে আর্সেনালের সাথে একত্রিত করে লন্ডনের একটি 'সুপার ক্লাব' প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন; যদিও তা কখনোই বাস্তবায়ন হয়নি।
স্টেডিয়ামটি একদম রাস্তার সাথে লাগানো। তাই পুরনো স্ট্রাকচার ভেঙ্গে গ্যালারির বাইরের অংশ পরিবর্তন করতে পারেনি ক্লাবটি। বাইরের যে দেয়াল, তাকে ভক্তরা ডাকে 'ওরেঞ্জ বক্স' বা কমলার বাক্স। স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখ একটাই, আর তাতে দেখা মিলবে একটি বড় স্ট্যাচুর। মূর্তিটি ক্লাবের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় জনি নরম্যান হাইনেস এর।
কোনো প্রধান শিরোপা জেতা ছাড়াই টানা ২০ বছর ফুলহ্যাম ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন হাইনেস। তিনিই তৎকালীন সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত খেলোয়াড় ছিলেন। ফুলহ্যামের হয়ে প্রায় ৬০০ ম্যাচ খেলা হাইনেসের বেতন ছিলো ১০০ পাউন্ড সপ্তাহিক!
আরেকটা তথ্য দিয়ে রাখি, ফুলহ্যাম ক্লাবটি যে এলাকায় অবস্থিত, তার নামই ফুলহ্যাম/ফুলহ্যাম ব্রডওয়ে। এবং এই এলাকা লন্ডনের সবচেয়ে দামি ও মানসম্পন্ন এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্টেডিয়ামে আসলে দেখার মতো কিছু নেই। অনেক ইতিহাস আছে যদিও। ক্লাবের মিডিয়া সেন্টার, হসপিটালিটি রিসিপশন কিংবা অফিসিয়াল স্টোর একাধারেই অবস্থিত।
স্টেডিয়াম হিসেবে এটি যথেষ্ট ছোট এবং অনেক পুরাতন। তবে ১৯৩৮ সালে এই গ্রাউন্ডেই মিলওয়েলের সাথে এক ম্যাচে প্রায় পঞ্চাশ হাজার দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন! (তখন স্টেন্ডিং স্পেস ছিলো।)
No comments