অল রেডস - আহমদ আতিকুজ্জামান।
আলহামদুলিল্লাহ।
২০২৫ বইমেলায় আসছে আমার প্রথম বই 'অল রেডস'।
দীর্ঘদিনের আক্ষেপ গুছিয়ে এবার সত্যিকার অর্থেই মলাটে বন্ধী হতে চলেছে অপরিপক্ক সব লেখা। তবে এটাই যে লিভারপুল নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম কোনো বই - তাতে আমার গর্বের কমতি নেই।
ঘাসফুল প্রকাশনীর ১৮০/৮১ নং স্টলে পাওয়া যাবে অমর একুশে বইমেলায়।
অল রেডস বইটি ৮টি ভিন্ন অধ্যায়ে সাজানো। ৮টি অধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন ৮টি সময়ের ও ঘটনার সাক্ষী। মর্মান্তিক হিলসবরো ট্রাজেডি কিংবা হেলসেলের বিদঘুটে সে সন্ধ্যা, বব পিয়েসলির বদলে দেয়া লিভারপুলের গল্পে বিল শ্যাঙ্কলির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া; কিংবা একই শহরে গড়ে উঠা দুটো ক্লাব কিভাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ঠিকে থাকলো অবাধ বিস্ময়ে; সে গল্পও থাকছে এই কিস্তিতে।
ধারণা করা হচ্ছে অল রেডস মোট তিনটি কিস্তিতে প্রকাশ পাবে। এই কিস্তিতে যেসব অধ্যায় থাকছে সেগুলোকে আরোও বেগবান করবে পরবর্তী কিস্তি। গল্পে গল্পে এগিয়ে যাবে একেকটি অধ্যায়। প্রথম কিস্তির অন্যতম দুটো অধ্যায় থাকছে ইয়ুর্গেন ক্লপের নরমাল ওয়ান হওয়ার গল্প ঘিরে। পাশাপাশি মিরাকল ঘটানো ইস্তানবুলের অবিস্মরণীয় সে রাতের বর্ণনাও উঠে এসেছে অল রেডস বইয়ে।
বাংলাদেশে ফুটবল নিয়ে বই খুব কমই লেখা হয়। স্পেসিফিক কোনো দল বা ক্লাবকে নিয়ে তো লেখা হয় না বললেই হয়। বাংলাদেশে এই সংস্কৃতি এনেছিলেন আহনাফ নাসিফ। রিয়াল মাদ্রিদ শিরোনামে তার বইটি দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো। মজার ব্যাপার হলো আহনাফ নাসিফ ভাই আমাকে এই বই লেখার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো অল রেডস বইটির সম্পাদনার কাজটিও করেছেন আহনাফ নাসিফ।
প্রকাশকের কথায় শান্তি কুটির থেকে আহনাফ নাসিফ লিখেছেন :
বই হিসেবে পাঠকদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে আমার বিশ্বাস। লিভারপুল ফুটবল ক্লাবকে নিয়ে শুরু করা যাত্রা যেন লেখকের না থামে, তার প্রতিও আমার প্রত্যাশা রইলো। অলরেডস পাঠকপ্রিয় হোক - এই কামনায়।
লেখক ও ব্লগার : আহমদ আতিকুজ্জামান।
No comments