ফুটবলে সিন্ডিকেট : মূল হোতা কে?
ভদ্রলোক বোধহয় নিজেকে ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ ভাবেন।
তিনি না ভাবলেও আমি অন্তত আর্ট মিউজিয়ামের নিখুঁত সফেদ দেয়ালে টাঙ্গানো ছিমছাম সুন্দর কাঠের ফ্রেমে পেরেজের কাছাকাছি তার ছবিটি টানাতে চাই।
নাহ, পেরেজের সাথে ভদ্রলোকের তুলনা করার দুঃসাহস আমার নেই; তবু পাশাপাশি ফ্রেমে দুজনের ছবি টানানোর পিছনে কাটখোট্টা একটা যুক্তি অবশ্য আমার আছে। পেরেজ একাধারে ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার এবং গ্রেটেস্ট একটা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট। ভদ্রলোক সেই পর্যায়ের না হলেও কাছাকাছি আছেন। তিনি ব্যবসায়ী, দেশের সর্ববৃহৎ একটি প্রতিষ্টানের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সে প্রতিষ্টানের একটা ফুটবল ক্লাবও আছে। তিনি সে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এবং পাশাপাশি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতিও বটে!
আশা করি ভদ্রলোকের পরিচয় নিয়ে আপনাদের মধ্যে আর কোনো সন্দেহ নাই। তিনি ইমরুল হাসান; বাংলাদেশ ফুটবলের এ সময়ের সবচেয়ে বড় মাফিয়া।
ইমরুল হাসান কিভাবে এ দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল মাফিয়ায় পরিণত হলেন- সে আলাপ অনেক দীর্ঘ। কতটা সূক্ষ্ম, দীর্ঘমেয়াদি ও সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করে আজকের ইমরুল হাসান যেভাবে হয়ে উঠেছেন দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় নিয়ন্ত্রক, এবং কালো পর্দার আড়ালে নিজেকে অদৃশ্য রেখে সব ক্যারিশমা দেখাচ্ছেন- তা সুক্ষ চোখে ধরা পড়া প্রায় অসম্ভব।
(১)
তখনো তিনি বাফুফের সিনিয়র সহ- সভাপতি হন নি; বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশে বিদেশে প্রসংশা কুড়াচ্ছেন। বাফুফে সভাপতির চেয়ারটা ১৬ বছর ধরে দখল করে আছেন কাজী সালাউদ্দিন। দূর্নীতি, লুটপাট, বিশৃঙ্খলা আর প্রভাব প্রতিপত্তির চূড়ান্তে পৌঁছানো বাফুফে ভবনটা একটা সময় মনে হতো সালাউদ্দিন, সালাম মোর্শেদি কিংবা আবু নাইম সোহাগের বাপ-দাদার সম্পত্তি। টানা ৪ বার বাফুফে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সালাউদ্দিনকে আজ হোক কাল হোক যেতেই হতো; এক সময় তিনি নিজেই ঘোষণা দেন আর ইলেকশনে যাবেন না। ঠিক সে সময়, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠকের নাম ইমরুল হাসান। কিংস এরেনায় বসে বসে যিনি সময় গুনছিলেন বাফুফে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার।
কিন্তু না। তিনি বাফুফে সভাপতি হওয়ার সব যোগ্যতা থাকা স্বত্তেও সে পথে পা দিলেন না। বরং বিতর্কিত সালাউদ্দিনের প্যানেল থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের মনোনয়ন নিলেন। সেবার তরফদার রুহুল আমিন সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন, পরে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদে; কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে না আসতেই নিজেকে সবকিছু থেকেই গুটিয়ে নিলেন রুহুল আমিন। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনের আগেই সিনিয়র সহ-সভাপতি হয়ে যান ইমরুল হাসান। তখন প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক ছিলো- তরফদার রুহুল আমিন কেন রহস্যময়ভাবে এভাবে হারিয়ে গেলেন? আর এখানে ইমরুল হাসানের ভূমিকাটাই বা কি? উত্তরটা সহজ- ইমরুল হাসানের অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাব। তরফদার রুহুল আমিন হারিয়ে যান নি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেয়া হয়েছে দৃশ্যপট থেকে।
ইমরুল হাসানের যেমন ক্ষমতার প্রভাব আছে, তেমনি আছে অপ্রতিরোধ্য স্ট্যান্টবাজি ক্ষমতা। একটা উদাহরণ দেই।
২০১৭ সালের কথা। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ (জাতীয় স্কুল ফুটবল) টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় শিহাব উদ্দীন একসময় জীবিকার তাগিদে দিনমজুরি করে ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন- এমন সংবাদ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে ইমরুল সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইলেন না। সাথে সাথে তাকে দলে ভেড়ানোর ঘোষণা দিলেন; শিহাবের ফুটবলার হওয়ার সব স্বপ্নই তিনি পূরণ করবেন। তবে এসব যে শুধুই মিডিয়ার স্ট্যান্টবাজি তা কেউই ধরতে পারেনি তখন। নয়তো মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আজকে আমি কেন এই প্রশ্ন করবো- সেই শিহাব উদ্দীন আজ কোথায়, জনাব ইমরুল হাসান?
মিনহাজের কথা মনে আছে আপনাদের?
মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ; বসুন্ধরা কিংসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। যার হাতে গড়ে উঠেছে কিংস। ইমরুল হাসানের ছত্রছায়ায় এক সময় নিজেকে ক্ষমতার চূড়ান্তে নিয়ে যান মিনহাজ। কিংসে ম্যাচ চলাকালীন মাঠে নেমে যাওয়া কিংবা রেফারি, সংগঠক অথবা বিপক্ষ ক্লাবের সাথে ঝামেলায় জড়ানো ছিল মিনহাজার প্রতিদিনের রুটিন। এক সময় তাকে ইমরুল হাসান চাকুরিচ্যুত করতে বাধ্য হন। কারণ, ইমরুল হাসানের ক্ষমতাবলে মিনহাজ হয়ে উঠছিলেন কিংসের গলার কাটা, আর ইমরুলের নিজের জন্য আতংকের কারণ। কিংসের চাকুরিচ্যুত মিনহাজ অবশ্য পরবর্তীতে নিজের সেরাটাই দিয়েছেন আরামবাগ ক্লাবে। জুয়াড়িদের সাথে সম্পর্ক গড়া কিংবা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়লে এবং তা প্রমানিত হওয়ার পর একসময় বাফুফে থেকে আজীবনের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। বলে রাখা ভালো, মিনহাজ কিংসে থাকাকালীন নিজ সংসদীয় আসনের হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন। আর পিছন থেকে সাহস ও অর্থের জোগানে ছিলেন ইমরুল হাসান।
(২)
বাফুফে সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানের খুব ঘনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য একজন মানুষকে এবার ফ্রেমে নিয়ে আসি।
জনাব হাসান আল মামুন;
২০২২ সালের ২৭ অক্টোবরের কথা কি মনে পড়ে? আমার মনে আছে। সেদিন বাফুফের টেলেন্ট হান্ট ইভেন্টের শেষ দিন ছিলো। মিডিয়ার সামনে তো খুব রসিয়ে বলেছিলেন ১১৯ জন বাছাই করা ফুটবলারকে খুব শীঘ্রই বাফুফের তত্ত্বাবধানে নিয়ে আসা হবে। ৩ বছর হয়ে গেলো- সেই টেলেন্টগুলো কোথায়? সে সময় জাতীয় দলের প্রধান প্রশিক্ষকের দায়িত্বে থাকা হাসান আল মামুনকে আজ অব্দি এই প্রশ্ন কেউ করেছে?
হাসান আল মামুন একসময় জাতীয় দলে খেলেছেন, রজনী কান্ত বর্মনের অনুপস্থিতিতে একটা সময় ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড তার হাতে শোভা পেয়েছে। তার পুরো খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার দেখুন, খুব আহামরি কিছু তাতে নেই। বরং ২০০৮ সালে সরকারকে দোষারোপ করে ক্লাব কর্তাদের জেলে ঢুকানোর মন্তব্যে করে সমালোচনার জন্ম দেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে যোগ দেন কোচিংয়ে; সেখানেও সাফল্যের ফুলঝুরি নেই তবু তিনি আজ জাতীয় দলের সহকারী কোচ পদে আসীন হয়েছেন মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে! অথচ কোন ম্যাজিক মুগ্ধতায় আল মামুন এই পদে আসীন হলেন সেটা এক বিস্ময়।
(৩)
১ সপ্তাহের ট্রেনিং কন্ডিশনিং ক্যাম্প করে ঢাকায় জাতীয় ফুটবল দল; এয়ারপোর্টে জানা গেলো ফাহামিদুল তাদের সাথে আসেনি! বিস্ময়ে ফেটে পড়লাম। কারণ হিসেবে হ্যাভিয়ের স্পষ্ট কিছু বলতে পারলেন না। বারবার প্রসংশা ঠিকই করলেন; সাথে বয়স কম, অপরিপক্ক এসবেরও ইঙ্গিত দিলেন। অথচ এই সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে দেশব্যাপী ফাহামিদুল বন্দনা; অনেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ভারতের বিপক্ষে জয়ের। যাকে নিয়ে এতো আয়োজন, তাকে কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই বিদায় দিয়ে দিয়েছেন কোচিং প্যানেল।
ভালো কথা। ফাহামিদুল সম্ভবত আপ টু দ্যা মার্ক প্লেয়ার না। তবে এই 'আপ টু দ্যা মার্ক' পরিমাপটি করলো কে? কোচ? ম্যানেজার? কোনো ডিরেক্টর নাকি অদৃশ্য কেউ? যদি বুঝতাম তাকে অনেক সুযোগ দেয়া হয়েছে, সে ঠিকমতো বলই লাথি দিতে জানেনা তাহলে ভিন্ন কথা ছিলো- ফাহামিদুল তো ১ম চান্সেই হ্যাট্টিক করা প্লেয়ার!
ফাহামিদুলের দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে দলের ম্যানেজার আমের খানের মন্তব্য বেশ সন্দেহের। আমের খান জানিয়েছেন ফাহামিদুলের অভিজ্ঞতার কমতি আছে, আশানুরূপ খেলা উপহার দিতে পারেনি। ফিফা র্যাংকিংয়ের ১৮৪ নং দলের ম্যানেজার ফাহামিদুলের পায়ে মেসির ড্রিবলিং, রোনালদোর শ্যুটিং আর মালদিনির ক্লিয়ারেন্স আশা করেছিলেন কিনা প্রশ্ন রইলো? ১৮ বছর বয়সী এই ছেলেটা যতটুক করার সক্ষমতা রাখে, আমের খান এমন একটা প্রোডাক্ট আগামী ১০ বছরেও তৈরি করতে পারবেন কিনা সেটাও জানতে চাই।
গণমাধ্যমে বেশ সরব সাবেক ফুটবলার আলফাজ; একসময় খ্যাপ খেলে নিজের ক্যারিয়ারের বারোটা বাজানো আলফাজের মতে জাতীয় দলে খেলতে হলে যে কাউকে হামজা বা তার চেয়ে ভালো মানের হতে হবে। হামজা বা তার চেয়ে ভালো মানের খেলোয়াড়কে নিজ চোখের সামনে খেলতে দেখতে পারাটাই যেখানে আলফাজদের সার্থকতা; সেখানে ফাহামিদুলকে এপ্রিশিয়েট না করে বরং ডিমোটিভেট করে বুঝানো হচ্ছে জাতীয় দলে খেলা কত কম্পিটিটিভ!
এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে লীগে নিয়মিত না খেলেও জাতীয় দলে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা কিভাবে ডাক পেলেন?
দিনশেষে কোচ তাহলে বসুন্ধরা কিংস কিংবা মোহামেডান, আবাহনীর কোটায় খেলোয়াড় নির্বাচনে ব্যস্ত? নয়তো লীগে নিয়মিত পার্ফম করা খেলোয়াড় কেন নেই জাতীয় দলের ৩৭ জনেরও লিস্টে!
আসলে এর সবটাই ইমরুল হাসানের ভেল্কি!
প্রবাসী ফুটবলারেরা আসলে যে কিংসের খেলোয়াড়েরা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এমনটা অনুমেয়। আর সে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তা তিনি মেনে নিবেন কি করে; তাই প্রবাসী ফুটবলারদের প্রতি অনীহা দেখাতে মিডিয়ায় লেলিয়ে দিয়েছেন সাবেক ফুটবলারদের। শেখ আসলাম, আলফাজ ও এমিলিরা এখানে যে ভুল পথে হাঁটছেন তা তারা নিজেরাই জানেন না।
(৪)
তাবিথ আউয়াল বিরাট অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন।
টিম ম্যানেজার হিসেবে অনেকেই চাইছিলেন আমের খানকে। অথচ সালাউদ্দিনের সকল অপকর্মের সহচর
সত্যজিত দাশ রুপু নিজেকে সর্বেসর্বা ভেবে বসে আছেন। যেই তিনি এই পদটা আমের খানের কাছে হারালেন, তার হৃদয় ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেলো। ঠিক তখন থেকেই উঠেপড়ে লেগেছেন কিভাবে তাবিথ আউয়ালের পর্ষদকে বিতর্কিত করতে আর বাফুফেতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে। তার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছেন সাইফুল বারি টিটু ও তাদের ঘনিষ্ঠরা। সালাউদ্দিনের এক সময়ের বিশ্বস্ত বন্ধু মহিউদ্দিন সেলিম কিন্তু এখনো নির্বাহী কমিটিতে আছেন। আর নীরবে তিনি সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাহায্য করে যাচ্ছেন।
তবে জাতীয় দলের অভ্যন্তরে সরাসরি প্রভাব খাটিয়ে চলেছেন যে মানুষটা তিনি হাসান আল মামুন। মামুন ব্যক্তিগতভাবে যেসব প্লেয়ারদেরকে পছন্দ করেন, তাদের তিনি মুখস্ত একাদশে রাখতে মরিয়া। পাশাপাশি দলের চুক্তিতেও কোচকে প্রভাব খাটিয়ে রাখতে ব্যপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
(৫)
ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান ও তার মাফিয়া সিন্ডিকেট বাহিনীর স্বীকার হয়েছেন বহু প্রতিভাবান প্রবাসী ও দেশি ফুটবলার।
রিয়াসাত ইসলাম খাতন, জার্মান এই প্রবাসী ফুটবলার দুইবার ডাক পেয়েও নিজেকে যেন চেনাতে ব্যর্থ হলেন!
রাহবার, নওয়াব কিংবা তাহমিদ; সিন্ডিকেটের মারপ্যাঁচে পড়ে জামাল ভূইয়া কখনো এ দেশের হয়ে খেলতে পারতেন কিনা সন্দেহ! তারিক কাজী কতটা কষ্ট করে দলে জায়গা করে নিয়েছেন তা সবাই জানেন। ফাহামিদুলকে যে সুযোগ দেয়া হয়েছিলো তা সে লুফে নিয়েছে, প্রমান করার চেষ্টা করতে দেয়া হয়নি। তার আগেই তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে- কারণ ফাহামিদুলের পজিশনে কিংসের একজন বছরের পর বছর কোটায় খেলে যাচ্ছেন!
ফাহামিদুলের সাথে যেটা করা হয়েছে তা স্রেফ ইনসাল্ট। ডেকে এনে জুতার বাড়ি। কিন্তু কেন এই কাজটি করা হলো তা অজানাই রয়ে গেলো। এই অজানাকে আজ জানতে না পারলে আগামীর বাংলাদেশ ফুটবল যে অন্ধকার তা অকপটে বলা যায়। টান্সপারেন্সির জায়গা থেকে কোচ হয়তো সত্যিটা বলবে ভেবেছিলাম, তবে তিনিও সিন্ডিকেটের শিখিয়ে দেয়া বুলি ঝেড়েছেন মিডিয়ায়। আর তাতে নিজের কপালেই কুড়াল মারলেন হ্যাভিয়ের তা তিনি বুঝলেন না। দু'দিন পর তিনি থাকবেন না, সিন্ডিকেট ঠিকই রয়ে যাবে। হ্যাভিয়ের তো তাও কথা বলেছেন, বলেনি একটা স্পেসিফিক মিডিয়া। টি-স্পোর্টস! বরং ফাহামিদুলের ব্যাপারে তারা আগে থেকেই ভবিষ্যৎ বাণী দিয়ে রেখেছিলো যে ফাহামিদুল আল্টিমেটলি ঠিকবে না; কারণ সে এখনো পরিপক্ব না।
আর টি-স্পোর্টস কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপের চ্যানেল! আর এখানেও কাড়ি নাড়ছেন ইমরুল হাসান।
(৬) ফাহামিদুলকে বাদ দিক আর যাই করুক- একটা স্পষ্ট কারণ উল্লেখ করতেই হবে বাফুফেকে। আর তা করতে ব্যর্থ হলেই ধরে নিবেন বাফুফে কার ইশারায় চলছে; কোন অদৃশ্য ক্ষমতায় যা ইচ্ছে তাই হচ্ছে! এক মাফিয়ার কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলার ফুটবল আরেক মাফিয়ার কাছে দিনদিন জিম্মি হয়ে পড়ছে। আর তার ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে বেড়ে উঠা সিন্ডিকেট ফুটবলকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। ফাহামিদুল না ফিরলে আগামীতে প্রবাসী ফুটবলারেরা আর বাংলাদেশে আসতে চাইবে না। আর কেউ আগ্রহই দেখাবে কিনা সন্দেহ!
সিন্ডিকেটের ইন্ডিকেটে বাফুফে ভবন চললে দেশের রাজপথ হোক তা রুখে দাঁড়ানোর মঞ্চ। যেকোনো মূল্যে এই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতেই হবে। নয়তো ফাহামিদুলের মতো আরোও যারা আসার সম্ভাবনা ছিলো; তা ক্ষীণ হয়ে যাবে। আর ইমরুল হাসানের মতো মাফিয়ারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে একসময় দেশে আবারো সালাউদ্দীনি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার সাহস পেয়ে যাবে। যা হতে দেয়া যায় না।
ফাহামিদুলকে শীঘ্রই জাতীয় দলে দেখার অপেক্ষায়....
No comments